Thursday, January 17, 2019

তারছিঁড়া

পটাং করে তার ছিঁড়ে গেল।
মাথার তার। 
বিবেক বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতার তার।
তার ছিঁড়া মানুষের আনন্দ আছে.....
অবশ্য এই নামের মুভিটার কথা বলছি না। বাজ্জো মুভি। 
ক্যায়সা জানি লাগতাসে...
ভালো লাগতেসে না...
বিশি এক্সপোজড লাগতেসে।
মাইনষে এত কতা কয়... 
ইয়া আল্লাহ!

Friday, May 2, 2014

অযথা এই বৃত্তচারণ

কতক্ষণ যাবত চেষ্টা চালালাম, কিন্তু একটা যথাযথ নাম দিতে পারলাম না পোস্টের :(.....
............

ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা:

আজকাল ডুব মারতে মন চাচ্ছে । পুরাতন ইচ্ছা। কিন্তু নতুন করে জেগে উঠেছে।  এই বিষয়ে আমার "গবেষণা"(মানে মনে মনে চালানো চিন্তা) বলে যে, আসলে প্রাইভেসী এবং পাবলিক লাইফ দুইটা জিনিসের মধ্যে ব্যালান্স দরকার। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যালান্স বলে কোন কথা নাই। এই জীবনে আছে গতি। মারাত্মক গতি। থামতে চাইলেও থামা যাবে না। কারণ রাস্তায় একটা গাড়ির সামনে থাকে অসংখ্য গাড়ি। আর পিছনে থাকে আরো অসংখ্য গাড়ি। ড্রাইভারের যদি হঠাৎ মন চায় একটু জিরিয়ে নিতে আর সে হার্ড ব্রেক করে; তখন তার পিছনের সব গাড়ির গতি রোধ হয়ে বিশাল বিপত্তি ঘটে যায়। সুতরাং ড্রাইভারকে চালিয়েই যেতে হয়।

Wednesday, May 29, 2013

পানি


আমি তখন ক্লাস সিক্স এ পড়ি। আমার বড়বোনের সাথে বাসায় ফিরতে হত বলে আমাকে ছুটির পরও বেশ অনেকক্ষণ স্কুলে থাকতে হত। খুব বিরক্তিকর ব্যাপার, সন্দেহ নেই। আমি একা একা স্কুলের মাঠে হাঁটাহাঁটি করতাম আর মনে মনে কথা বলতাম। মাঝে মাঝে এভাবে দেরি করার কারণে অনেকের সাথে পরিচয় হয়ে যেত, সেরকমই একজন ছিল মিষ্টি।

 যাহোক একদিন আমি একা একা হাঁটছি আর কিছু একটা ভাবছি, ভাবতে ভাবতে পানি খাচ্ছি বোতল থেকে। ভীষণ গরম পড়েছিল সেদিন। আর কোন কারণে পানি ছিল আমার কাছে খুব কম। পানি না খেলে আবার আমার চলে না। তো ভাবতে ভাবতে আনমনে আমি বোতলের শেষ পানিটুকু মুখে ঢেলে দিলাম।

তুই তুই তুই তুই.......


বাংলাদেশে আসার পর তখন নতুন নতুন বাংলা শিখেছি। বয়স হবে কত আর, বড়জোড় চার পাঁচ। মায়ের কাছ থেকে, বাবার কাছ থেকে, সবার কাছ থেকে বাংলা শিখি। বেড়াতে গেলাম নানার বাড়ি, খাঁটি পাবনাইয়া কিছু গালি শিখে এলাম সবাই। বাসায় এসে বড়আপু আর ভাইয়া ঝগড়া লাগিয়ে একজন আরেকজনকে গালি দিতে লাগল,'শালির বিটি শালা, শালির বিটি শালা...'

অ্যাহ মেয়েরা, চুপ ক্যারা.....


আমাদের নিরঞ্জন স্যার, স্কুলের অংক স্যারের কথা হঠাৎ খুব মনে পড়ছে। স্যার বেশ কিছুটা অদ্ভুত ছিলেন, এই হিসেবে যে স্যারের কোনই বিশেষত্ব ছিল না, অংক করতে পারা ছাড়া।

স্যারের ক্লাসে আমার কাজই ছিল গল্প করা। ক্লাসটা হত খুবই বোরিং, স্যার এসে ঢুকতেন, চক হাতে নিতেন,বোর্ডে যেতেন এবং কোন ভুমিকা ছাড়াই অংক করানো শুরু করে দিতেন। আমি একহাতে স্যারের অংক তুলতাম, অন্যহাতে ফ্রেন্ডের সাথে খোঁচাখুঁচি করতাম আর মুখ দিয়ে সমানে কথা বলে যেতাম। যখন বেশি কথার শব্দ হত,স্যার হঠাৎ হঠাৎ পিছন ফিরে একটা হাঁক দিতেন,'অ্যাহ মেয়েরা,চুপ ক্যারা....'

Saturday, September 1, 2012

কিছুটা আড়াল এখন প্রয়োজন

[ইহা গদ্য লেখা
কিন্তু ইচ্ছা করেই পদ্য-পদ্য চেহারা দিলাম]
............................

চেঁচামেচি গান শুনি আর ব্লগ লিখি,
মাথার মধ্যে শর্ট সার্কিটও পুরানো হয়ে গেছে,
মাঝে মাঝে একটা দুইটা লাইন চলে আসে মাথায়;
আবার বারান্দার গ্রীল গলে আকাশে পালায়..

Friday, March 2, 2012

খুচরো আনন্দ

কতগুলো দারুণ মজাদার কিন্তু অর্থহীন কাজ আছে যেগুলো বেশিরভাগ ছোটবেলায় করতাম। এইগুলো হল খুচরো আনন্দের কাজ। বড় মানুষের জন্য মোটামুটি এগুলো সবগুলোই পাগলামীর পর্যায়ে পড়ে.. তবে আনন্দ তো আনন্দই।

১.ট্যালকাম পাউডার ম্যানিয়া:

ট্যালকাম পাউডার ফ্লোরে ছিটিয়ে তাতে অন্তত একবার পিছলা খায়নি এরকম বাচ্চা মনে হয় পাওয়া কঠিন। আমার মনে পড়ে আমরা ভাইবোনেরা ফ্লোরে পাউডার ছিটিয়ে মোজা পরে 'পিছলা-পিছলি' খেলতাম।

যেকোনো পারফিউমড জিনিসই হল স্বপ্নময়..dreamy....আহ....সুঘ্রাণ.... উমম... (আল্লাহই জানে যারা পড়তেসে তারা কী ভাবতেসে আমার মস্তিষ্কের স্বাস্থ সম্পর্কে:-|)। তার মধ্যে আবার ট্যালকাম পাউডার একটু বেশি ভালো লাগে। এজন্য হয়ত পিছলা-পিছলা খেলাটা আমার এখনো খেলতে ভালো লাগে।
মাঝে মইধ্যে গোফনে গোফনে খেলাই... কেডাউ জানে না যাতে... সেইরকম সাবধানে.... :D