গেয়ানী গুণী লোকেরা বলেচেন, জীবন পার কইরা দিবা, পাত্তা দিবা না (ভয় পাইয়েন না, এই গেয়ানী গুণী লোক আমি নিজে। দেখলাম কেউই এই গেয়ানের কতাডা বলতে চাইতেসে না, এর লাইগা আমিই পরের নাম দিয়া বলি)।
.................................
গত কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টি হইল। বৃষ্টি দেখতে দেখতে আর "আকাশের মন খারাপ" জাতীয় সাহিত্য মনে আসে না, মনে হয়, "আকাশের প্যাট খারাপ" (কথা বাজে শুনাইল, তয় কথা সত্য)। হইলে হইত.... কিন্তু বৃষ্টির চোটে আমার নিউমোনিয়া হয়ে গেল। :(
এরকম অসহ্য আবহাওয়া হইল কেন বাংলাদেশের?
ইহা গ্লোবার ওয়ার্মিং এর ফল।
আমি যে টাইটেল দিলাম, এটা কোন গেয়ানী গুণী লালন-টাইপ লোকের গান না... এটা আমার আবিষ্কার। তবে ভাবে মনে হইতেসে, কঠিন কতগুলো লাইন আছে এই লাইনটার পরেই.... ওয়েল, আসলে নাই।
স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ন্যুডলস রান্না করলাম আজকে। কিন্তু খাওয়ার উপায় নাই, এটা গেস্টের সামনে যাবে।
মাঝে মধ্যে একটু খেয়াল দিয়ে তাকালে জীবন সম্পর্কে কেবল দার্শনিক ভাষ্য মুখে আসতে চায়.........
কিন্তু আসতে দেই না, কারণ এইসব দার্শনিক কথা সবই আগেই বলা হয়ে গেছে। বুড়া বুড়া মনীষীরা বলে দিয়ে গেছেন। আমার বলার আর জায়গা বাকি নাই। পুরান কথা বার বার বলে কী লাভ?
এইজন্য এখন হঠাৎ মনে চিন্তা আসছে, জীবন পার হয়ে যাক, আর কয়দিনই বা। চলে গেলেই চুকে গেল।
সেজন্যই এই দার্শনিক ভাবধারার পোস্ট আমি ধার করা ইন্টারনেটের দ্বারা লিখিতেছি। যার সারমর্ম হইল, ভক্তকুল, তোমরা কমেন্ট করিলে সাঁই বাবা (আমি) কবে উত্তর দিব তার ঠিক নাই। আদৌ দিতে পারিব কিনা তাহা কে জানে? পৃথিবীতে তো (সকল) কিছুই অর্থহীন। বেটার কমেন্ট না কর। আর যদি করতেই চাও, তবে কর। যাহা মনে চায় জীবনে তাহাই করার চেষ্টা করিও বৎস (শেষে কি য-ফলা হইবে?)।
আজকের এই (হয়ত) সমাপনী পোস্টের সাথে যাইবে একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের ছবি। যাতে যখনি উহা দেখিব তখনই বৃষ্টি আর গায়ে লাগিবে না।