লিখতে বসলেও কোন লেখা আসে না। কি নিয়ে লেখা যায় ভাবি, কিন্তু কোন কূল কিনারা পাই না। ভাগ্যিস আমি প্রফেসনাল লেখক না! হলে সমস্যা হয়ে যেত।
আমাদের বাসার পিছনের বস্তিটায় সারাদিন গান-সিনেমা ইত্যাদি চলতেই থাকে। সকাল পাঁচটার দিকে স্টার্ট নেয়। আর থামে রাত একটার দিকে। লোকটা রিকশা চালায়, তার দুই বউ (লেখাপড়া করে, চাকরি নিয়ে,লাখ টাকা কামাই করেও ছেলেরা একটা বিয়ে করতেই সাহস করে না, আর এই লোক দু'টো বিয়ে করে বসে আছে! guts আছে বলা উচিত, নাকি ঘিলু নাই বলা উচিত- আমার জানা নাই...)। এই লোক মাইজ ভান্ডারীর ভক্ত। ভক্তিমূলক গান শুনে সে আমাদের এই রমজানটাকে রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলেছিল। সেহরিরর পর থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ভান্ডারীর নামজপ শুনতে হত। এখন 'দিও নাকো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া..' জাতীয় গান এবং নায়ক নায়িকাদের নাকি কান্নার সাথে ভিলেনের মু-হা-হা হাসির একটা জগাখিচুড়ি কম্বিনেশন শুনতে হচ্ছে।
মানুষটা আমি খুব মহৎ না... সত্যি বলতেই এই লোকের জন্য মাঝে মধ্যেই বদ দোয়া করেছি যাতে
সে অসুস্থ হয়ে যায় এবং আমরা একটা দিনের জন্য হলেও নিষ্কৃতি পাই। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না। :-S
বাদ দেই এই লোকের কথা।
ইদানিং লেখার সাথে ছবি দিতে মন চায়... বিশেষ করে মজার কোন বিষয়ের সাথে.... কিন্তু কার্টুন আঁকা সোজা কাজ না :(।
বসে একটু আঁকিবুঁকি করার চেষ্টা করলাম, আশানুরূপ ফল হয় নাই, ফলশ্রুতিতে আমার ব্লগটা লিখে ড্রাফট করে রাখা হয়েছে। পোস্ট করা হয়নি। কারণ কোন কারণে আমার মনে হয়েছে এই লেখাটার সাথে ছবি যাবে।
কী ছাতামাথা লিখছি তার ঠিক নেই। একটা কিছু লিখতে হবে তাই লেখা।
লক্ষ্য করে দেখলাম কথাটা সত্যি যে ভালো ছবি আঁকতে পারলেই ভালো কার্টুনিস্ট হওয়া যায় না। বরং যারা ভালো আঁকে এরা কমই ভালো কার্টুনিস্ট হয়। আমি ভালো আঁকি তা না, তবে নিতান্ত মন্দ আঁকি না। যথেষ্ট সময় নিয়ে আঁকলে খারাপ হয় না, কিন্তু কার্টুন আঁকার চেষ্টা করে দেখছি কাজটা অপেক্ষাকৃত কঠিন। সুক্ষ্ম অনুভূতিগুলোকেও একটু মোটাদাগে দেখাতে হয়.... সহজ কাজ না। যেমন খালেদা জিয়ার ঠোঁটটাকে স্বাভাবিকের প্রায় তিনগুণ মোটা আঁকে কার্টুনিস্টরা, আর শেখ হাসিনার নাকটা হয় বাস্তবের চেয়ে অনেক বেশি লম্বা। সুক্ষ্ম অবজারভেশন না থাকলে এগুলো খেয়াল করাই সম্ভব না, সেটাকে কমানো বাড়ানো তো পরের কথা।
আম্মু ঠাস ঠাস করে জানালা বন্ধ করছে। এই আশায় যে, আমাদের বিনোদনপ্রিয় প্রতিবেশী রিকশাওয়ালা সাহেব সাউন্ড কমিয়ে দেবেন। কিন্তু ঘটনা হল এই যে এই লোকের যদি 'ইঙ্গিত' বোঝার ক্ষমতাই থাকত এবং অন্যের সুবিধা অসুবিধার দিকে নজরই থাকত, তাহলে সে এভাবে গান বাজাতই না। গরিব মানুষকে বড়লোকেরাই ছোটলোক করে তোলে। কিন্তু বড়লোকদেরকে দোষী সাব্যস্ত করলেও ওদের এইসব ছোটলোকী কাজকর্ম বন্ধ হয় না। ওদের প্রতি শ্রদ্ধাও জাগে না। অবশ্য ওদের জন্য খারাপ লাগে। জীবনে আনন্দের আরো কত চমৎকার উৎস আছে, কত দারুণ দারুণ গল্প-উপন্যাস-কবিতা রয়েছে, কত সুন্দর সুন্দর পাহাড়-পর্বত আছে, সেখানে কত রহস্য লুকিয়ে আছে; এসবের কিছুই এই লোকটা জানে না। সে কেবল মোটা শরীরের নায়িকার উৎকট সৌন্দর্য আর তার নাকি কান্নার সৌন্দর্যই খুঁজে পেল। রমজানে কত ভালো ভালো কাজ হয়ে গেল পৃথিবীতে, অথচ এই লোক তার সওয়াবের উপায় বলে জানল ভান্ডারীর গানকে।
ওহ, এর চেয়ে খারাপ কি আর কারো জীবন হতে পারে?
এখন উঠব। দুপুরের খাবার খেতে খেতে বিকাল হয়ে যাচ্ছে। ডায়রী লেখা হয় না বলেই হয়ত এরকম দিনলিপি জাতীয় পোস্ট লিখছি।
উঠলাম তাহলে।
..............
[ওহ, বি.দ্র. দিয়ে একটা স্বল্প জরুরী কথা বলে নেই। আমার ব্লগে ভোট করার একটা অপশন আছে। সেটা outdated হয়ে গিয়েছিল। আপনারা অনুগ্রহ করে যা মনে করেন সেইমত ভোট করুন। তাহলে আমি জানতে পারব আমার লেখার দোষত্রুটিগুলো কোথায়। সেগুলো ঠিক করার একটা attempt নেব ভাবছি।]
valo likhechhen.
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDeleteGuess what.! We too have a(an) (in)famous slum area at the back of our place.
ReplyDeleteAr bolben na moshai ki jwala. :( chakrir subade onno shohore rowna diye bacha gelo.