Sunday, December 25, 2011

কাভি কাভি মেরে দিল মে... খায়াল আ'তা হ্যায়.........

আজকে একটু ঢিসটিং ঢিসটিং মুডের মধ্যে আছি।
রাতে ঘুমাই নাই। মুভি দেখসি। দেখা মুভি। আগে দেখসিলাম। পরে কেন জানি মুভিটা কালেকশানে রাখার মত মনে হয় নাই (যদিও মুভিটা ভালো লাগসিলো)। কেমন যেন একটা বিরক্তি কাজ করেছিল মুভিটার উপর। আবার কথা নাই বার্তা নাই, বছর দুই-তিন পরে মনে হল -'আসলে মুভিটা ভালো'। কালেকশানে রাখা উচিত। তাই ভার্সিিটর লাইব্রেরীর ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহার করে মুভিটা নামালাম। এইবার দেখার পর অনেক ভালো লাগল। আসলে তখন আমি মুভিটা ঠিক মতন বুঝিই নাই, এখন মনে হল।

অবশ্য এইসব কথার পিছনের একটা কথা আছে, যেটা বললে তামাশার পাত্রও হয়ে যেতে পারি (নেভার মাইন্ড, আই'ল রিস্ক দ্যাট!)
আসলে ইদানিং... কেবল ইদানিং না আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই আমার মনে হচ্ছে আমাদের দৃষ্টির বাইরের জগতটার প্রতি নজর দেয়াটা আসলে ....... ইন্টারেস্টিং। স্পিরিচুয়ালিটি মানুষের একটা built in ব্যাপার। যেমন মাঝে মাঝে ইঙ্গিতপূর্ণ স্বপ্ন দেখা,অদ্ভূত কিছুর উপস্থিতি অনুভব করা.... বা....... (যারাই লেখাটা পড়তেসে, ভাবতেসে "মেয়েটা পুরোই cracked") অদৃশ্য হাতের কারসাজি টের পাওয়া........

মাত্র গতকালই আব্বু বলছিল একটা গল্প। আসলে গল্প না, কিছুটা দার্শনিক একটা ব্যাপার। কথাগুলো শুনতে শুনতে আমার  হঠাৎ মনে হল একজন লেখক যখন লেখে তার লেখাগুলো ঠিক কোথা থেকে আসে? তার তৈরি চরিত্রগুলো? কিংবা সেইসব চরিত্রের কথাবার্তা, চিন্তা, কাজকর্ম?
লেখক একটা প্যারালেল জগত তৈরি করে। তার মাথার ভিতর। সেখানে তার তৈরি চরিত্রগুলো সবসময় তার কথামত চলে না। আমার লেখালেখির খুব বেশি অভ্যাস নেই। যেটুকু আছে, তাতেই অনেকসময় একটা লেখা শুরু করার পর সবসময় সেটার লাগাম আমার হাতে থাকে না....... এটা কী যারাই লেখার চেষ্টা করে, তাদেরই ঘটে? না কেবল আমিই ক্লু-লেস?

(কী ছাতামাথা ল্যাখতেসি!)
I am finally cracked.
হইলামই না হয় :-|

আমার মনে হয় এখন পাবলিকলি বলায় দোষ নেই। খুব ছোটবেলায় একবার আমি যা স্বপ্ন দেখেছিলাম, অলমোস্ট তা-ই ফলে গিয়েছিল। এই একবারটা famous, কিন্তু এর বাইরেও কিছু ঘটনা আছে যেগুলো স্বপ্ন না... তারও বেশি কিছু।
কেবল আমার না, আমি নিশ্চিত এরকম অভিজ্ঞতা বা ঘটনা কমবেশি সবারই কিছু না কিছু জানা আছে।


আমার খুব আগ্রহ হয় এরকম কোন মানুষকে কাছে থেকে জানার, যার কোন বিশেষ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আছে। এরকম বহু লোক আছে যারা এইসব দাবী করে... দাবী তো কতজনই করে। কিন্তু হয়ত হাজার বা লাখে এমন এক-দু'জন আছে। আমার ইচ্ছা এরকম কারো কাছ থেকে কিছু জানি। এই ইচ্ছাটা সম্ভবত একধরনের অপূর্ণতাবোধ থেকে আসে। psychology বিষয়ক একটা বইতে পড়লাম, spirituality তে বিশ্বাস বা 'আমি আমার ধরা ছোঁয়ার জগতের বাইরের কিছু করতে পারি বা জানতে পারি'- এই বিশ্বাস অনেকটা মানুষের মৌলিক একটা বৈশিষ্টের পর্যায়ে পড়ে।

কিন্তু আমি কেবল চোখ খুলেই দেখতে পাই (সে তো রাম-শ্যাম-যদু-মধুও পায়), চোখ বুঁজে কিছু দেখি না। আমি কখনো স্বপ্নে বা জাগরণে কোন ইঙ্গিত পাই না (মানে খোদা আমাকে কোন ইঙ্গিত দেন না, আমার কোন গুরুত্ব তার কাছে নাই),  একটা মৃত মানুষের আত্মা বা জ্বীন বা পরী আমাকে দেখা দেয় না, কিংবা আমার ইন্ট্যুইশান বা সিক্সথ সেন্স একটাও নাই (মানে আমি মানুষের মধ্যেও কিছুটা পশু স্তরে পড়ি) .... এই চিন্তাগুলো মাঝে মাঝে খোঁচায়। কেবল এ জগতের বাইরের জগতে বিশ্বাস করাটাই তখন enough মনে হয় না। মন চায় আরো কিছু বেশি বিশ্বাস করতে। মন চায়... যেমন আমার মন চেয়েছিল (আমার দেখা দু:স্বপ্নটা বাস্তবে ফলে যাবার পর) আবার কেন আমি কোন একটা কিছু স্বপ্নে দেখি না? যদিও সেটা দুর্ঘটনা, যতই সেটা খারাপ হোক, ভবিষ্যতে আমার মন উঁকি মারতে পারে - চিন্তাটা মারাত্মক flattering!

এজন্য জ্বীন-ভূত বিষয়ক সত্য বা কখনো মিথ্যা ঘটনাগুলো শুনে মনে হয় যাহ... শা... লা...... আমার কেন এমন কোন অভিজ্ঞতা নাই? যদিও চিন্তাটা insane.......
তারপরও......
মনে হয় একটা দুইটা এমন অভিজ্ঞতা খারাপ না। ট্রেন নাহয় একদিন লাইন ছেড়ে ঘাসের মাঠেই চলে দেখুক, এই ট্রেনের তো একা আমিই যাত্রী। আর কারো ক্ষতির আশঙ্কা নাই।
খেয়াল.... উদ্ভট খেয়াল.......... তাও খেয়ালটা খুব পেয়ে বসেছে। মানুষের ভয় পেয়ে আত্মা শুকিয়ে যাবার অভিজ্ঞতা হয় শুনি। কারো কারো রাতের বেলা উড়ন্ত পর্দা দেখেই আত্মা দৌড় মারে....... আহা... কী ইমাজিনেটিভ পাওয়ার!আমার নাই। আফসোস। ইংরেজিতে একটা কী টার্ম আছে না অন্যের জুতা পায় দিয়ে হাঁটা। এইটারও শখ জাগে.......

আমার ছোটবোন বলল, কারো কথা বেশি মনোযোগ দিয়ে শুনলে নাকি একসময় দেখা যায় তার মাথা বড় ছোট হচ্ছে.... এরকম অদ্ভূত ব্যাপার আমি জীবনে শুনি নাই। বড়াপুর তো ছোটবেলা থেকেই দেখছি অসীম কল্পনা শক্তি এবং অসীম ভয় পাবার ক্ষমতা। আমার নাই। বড়াপু বলেছিল একবার , মানুষের দিকে তাকায় থাকতে থাকতে নাকি সে দেখতে পেত তার মুখ-চোখ খসে খুলি-কঙ্কাল বের হয়ে পড়ল.... (হাহাহা... ভাগ্যিস বড়াপু ব্লগিং করে না, যদি দেখত তার রেপুটেশানের বারোটা বাজাচ্ছি) আমি সারা জীবন তাকিয়ে থাকলেও মনে হয় 'মুখে তিল আছে' এর বেশি দেখতে পাব না...
জীবনে এমনকি একবার সেন্সলেস হবারও অভিজ্ঞতা হল না :-|
এই জাতীয় ছোট জিনিসই experience করা হল না... আর জ্বীন-পরী ... থাক ওসব তো ঐদুনিয়ার কথা... যুদ্ধ-বিগ্রহ, প্রেম-বিরহ,  খ্যাতি-কুখ্যাতি, বিশাল বড়লোকী-ভয়াবহ গরিবিয়ানা............ এইসব তো থাকল দূরের কথা।

খেয়াল জাগতেসে....
একটু অভিজ্ঞতা হলে মন্দ হত না....
হয় না ক্যান?

জীবনটা আরো অ্যাডভেঞ্চারাস হইলে ভালো হইত...

ধুউউশ.......


2 comments:

  1. tomar post shobshomoy pore jai, kintu kichu bolar na thakle comment korina. but - pori. :P
    tomar ki sleep paralysis hoy? more than half the population of the world er sleep paralysis hoy, ar jodio etar physiological explanation ache, kichu scholars bole je eta jinn er karone hote pare majhe majhe. soo - oitao ekta experience. :D

    reality ke reality hishebe dekha kintu khub kothin bepar. so - congratulations!! :D

    accha tumi ki amar blog e comment kore delete kore dao? ei porjonto 2bar erokom hoise. first time ami bhabsilam eta mistake, kintu ekhon mone hocche onno keo tomar nick use kortese. :O

    ReplyDelete
  2. L,
    আমার তো ধারণা হয়েছিল তুমি আমার কমেন্ট ডিলিট করে দিচ্ছ। পরে দেখলাম আমি যেখানেই কমেন্ট করছি, কমেন্টগুলো পোস্ট হচ্ছে না। কিন্তু ব্লগার মেইলে কমেন্ট পাচ্ছে। ঘটনা বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয় এটা blogger এর কোন টেকনিক্যাল সমস্যা।
    ............

    আমার ব্লগ পড়ে যাবার জন্য থ্যাংস।
    ...
    ইয়েস ম্যাডাম, যেটাকে 'স্লিপ প্যারালিসিস' বলে সেটার অভিজ্ঞতা আমার আছে। দু'একবারের হালকা পাতলা অভিজ্ঞতা।

    আমার চেয়ে অবশ্য এই বিষয়ে আমাদের ফ্যামিলির কারো কারো অভিজ্ঞতা বেশি। যেমন আমার ছোট ভাই। তার মারাত্মক 'বোবায় ধরা' (আমরা বলি,'বোবা ভূতে ধরা.. হা হা')সমস্যা ছিল। সেটার সমাধান হয়েছে আয়াতুল কুরসি পড়ে শোয়ার মাধ্যমে। আমার ক্ষেত্রে যেটা হয় সেটা বেশ হাস্যকর। আমার ঘুম মোটামুটি গভীর হয়, তবে পিকিউলিয়ার ব্যাপার হল আশপাশে কোন অস্বস্তিকর বা আশংকাজনক কিছু ঘটলে আমার ঘুম আপনাতেই ভেঙে যায়। এমনকি দেখেছি হয়ত ঘুমের সময় কেউ আমার দিকে তাকিয়ে রইল, আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম বেশি গভীর হয় না বলেই হয়ত আমার স্লিপ প্যারালিসিস তেমন একটা হয় না।
    আমাকে যে দুই একবার বোবায় ধরেছে আমি টের পাওয়া মাত্রই মনে মনে গালি দিয়েছি, আর ভূত ছেড়ে গেছে :D। আমার মনে হয়, আমি কনশাস হয়ে গেছি, তাই শরীরের ঝিম ধরা ভাবটা কেটে গেছে।
    এটা তো সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা, কিন্তু আমার ভাইয়ের ক্ষেত্রে এটা খাটে না, সে রাতে আয়াতুল কুরসি পড়ে শোয়া অভ্যাস করেছে, এরপর ধীরে ধীরে তার সমস্যাটা কেটে গেছে। এটার তো আবার সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা নাই।
    বিষয়টা নিয়ে যা যা নেটে পাওয়া যায় এবং সাইকোলজি বইয়ে যা পেয়েছি পড়েছি, তবে আমার মনে হয় এর মধ্যে দু'টো ব্যাপারই আছে। সায়েন্টিফিক এবং তার বাইরের কিছু। কাউকে কাউকে হয়ত জেনুইনলি জ্বীনে ধরে, কে জানে।
    ধন্যবাদ কংগ্রাচুলেট করার জন্য। তবে আমার মনে হয় আরেকটু কল্পনাশক্তি থাকলে মন্দ হত না।

    ReplyDelete

What do you think?