[ইহা গদ্য লেখা
কিন্তু ইচ্ছা করেই পদ্য-পদ্য চেহারা দিলাম]
............................
চেঁচামেচি গান শুনি আর ব্লগ লিখি,
মাথার মধ্যে শর্ট সার্কিটও পুরানো হয়ে গেছে,
মাঝে মাঝে একটা দুইটা লাইন চলে আসে মাথায়;
আবার বারান্দার গ্রীল গলে আকাশে পালায়..
Saturday, September 1, 2012
Friday, March 2, 2012
খুচরো আনন্দ
কতগুলো দারুণ মজাদার কিন্তু অর্থহীন কাজ আছে যেগুলো বেশিরভাগ ছোটবেলায় করতাম। এইগুলো হল খুচরো আনন্দের কাজ। বড় মানুষের জন্য মোটামুটি এগুলো সবগুলোই পাগলামীর পর্যায়ে পড়ে.. তবে আনন্দ তো আনন্দই।
১.ট্যালকাম পাউডার ম্যানিয়া:
ট্যালকাম পাউডার ফ্লোরে ছিটিয়ে তাতে অন্তত একবার পিছলা খায়নি এরকম বাচ্চা মনে হয় পাওয়া কঠিন। আমার মনে পড়ে আমরা ভাইবোনেরা ফ্লোরে পাউডার ছিটিয়ে মোজা পরে 'পিছলা-পিছলি' খেলতাম।
যেকোনো পারফিউমড জিনিসই হল স্বপ্নময়..dreamy....আহ....সুঘ্রাণ.... উমম... (আল্লাহই জানে যারা পড়তেসে তারা কী ভাবতেসে আমার মস্তিষ্কের স্বাস্থ সম্পর্কে:-|)। তার মধ্যে আবার ট্যালকাম পাউডার একটু বেশি ভালো লাগে। এজন্য হয়ত পিছলা-পিছলা খেলাটা আমার এখনো খেলতে ভালো লাগে।
মাঝে মইধ্যে গোফনে গোফনে খেলাই... কেডাউ জানে না যাতে... সেইরকম সাবধানে.... :D
১.ট্যালকাম পাউডার ম্যানিয়া:
ট্যালকাম পাউডার ফ্লোরে ছিটিয়ে তাতে অন্তত একবার পিছলা খায়নি এরকম বাচ্চা মনে হয় পাওয়া কঠিন। আমার মনে পড়ে আমরা ভাইবোনেরা ফ্লোরে পাউডার ছিটিয়ে মোজা পরে 'পিছলা-পিছলি' খেলতাম।
যেকোনো পারফিউমড জিনিসই হল স্বপ্নময়..dreamy....আহ....সুঘ্রাণ.... উমম... (আল্লাহই জানে যারা পড়তেসে তারা কী ভাবতেসে আমার মস্তিষ্কের স্বাস্থ সম্পর্কে:-|)। তার মধ্যে আবার ট্যালকাম পাউডার একটু বেশি ভালো লাগে। এজন্য হয়ত পিছলা-পিছলা খেলাটা আমার এখনো খেলতে ভালো লাগে।
মাঝে মইধ্যে গোফনে গোফনে খেলাই... কেডাউ জানে না যাতে... সেইরকম সাবধানে.... :D
Labels:
confetti,
soap bubbles,
খুচরো আনন্দ,
নারকেল পাতার চশমা,
পাঁপড়ির টিপ,
সন্ধ্যামালতী
Tuesday, January 24, 2012
দিন-বণিক: স্টল নাম্বার ১৩২
আজকের হাওয়াটা ভালো আছে।
বেশ একটু রোদ উঠেছে।
এরকম ওয়েদারে নানাবাড়ি ঘুরতে যেতে মন চায়।
স্কুলের ডিসেম্বরের ছুটির কথা মনে হয়।
এরকম সময়ে পাবনায় যেতাম। আর খেলতাম ব্যাডমিন্টন। আহ! ছাদে পিকনিক করাও একটা মজা ছিল। ছোট্ট মাটির চুলায় রান্না। এক একজনের মাথার উস্কোখুস্কো চুল বাতাসে উড়ছে, মা-খালারা ক্রমাগত বকাবকি করছে পালা করে, কিন্তু পাত্তা দেয় কে! রান্না শেষে মামা সুন্দর করে এসে বলত, 'কি রে, তোরা কি একাই খাচ্ছিস নাকি? আমাদেরকে দিবি না?' শেষে নানাজীকে একটা বাটিতে করে একটু, মামাদেরকে, পিচ্চিরা আর আমরা.... কিন্তু কিভাবে যেন সবারই হয়ে যেত!
আহ! ভাবতে একটা কষ্ট কষ্ট ফিলিংস হয়। এখন আর নানী নাই। রান্নাঘরে সারাক্ষণ ভাত ফুটতে থাকে না। অদ্ভুত পাবনার ভাষায় বকাবাজি করারও কেউ নাই। সেই নিচতলা থেকে চাপকলের পানি টেনে উঠাতে হয় না। টানা লম্বা বারান্দাটাও নাই। সব মামাদের জন্য আলাদা আলাদা রান্নাঘর, আলাদা বারান্দা। বাড়িটাতে পা রেখেই মনের আনন্দটা চট করে নিভে যায়।
হয়ত এটা মানুষের মনের অদ্ভুত কোন ব্যাপার। ঐ বাড়িটার সাথে শৈশবের আনন্দগুলো জড়িয়ে গেছে। যদিও এখন আর বাড়িটাও আগের মত নেই, তার বাসিন্দারাও বদলেছে, তবু ঢাকার দমবন্ধ পরিবেশে থাকতে থাকতে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন মনটা দৌড় মারে ঐদিকে। ঢাকার উপর ভালবাসার সিলিং নাই। এজন্য ঢাকায় সারাজীবন কাটিয়েও ঢাকার উপর টান সহজে হতে চায় না।
শুধু মনে হয় ঐখানটাতে সুখ রাখা আছে।
বস্তা বস্তা সুখ.........
বেশ একটু রোদ উঠেছে।
এরকম ওয়েদারে নানাবাড়ি ঘুরতে যেতে মন চায়।
স্কুলের ডিসেম্বরের ছুটির কথা মনে হয়।
এরকম সময়ে পাবনায় যেতাম। আর খেলতাম ব্যাডমিন্টন। আহ! ছাদে পিকনিক করাও একটা মজা ছিল। ছোট্ট মাটির চুলায় রান্না। এক একজনের মাথার উস্কোখুস্কো চুল বাতাসে উড়ছে, মা-খালারা ক্রমাগত বকাবকি করছে পালা করে, কিন্তু পাত্তা দেয় কে! রান্না শেষে মামা সুন্দর করে এসে বলত, 'কি রে, তোরা কি একাই খাচ্ছিস নাকি? আমাদেরকে দিবি না?' শেষে নানাজীকে একটা বাটিতে করে একটু, মামাদেরকে, পিচ্চিরা আর আমরা.... কিন্তু কিভাবে যেন সবারই হয়ে যেত!
আহ! ভাবতে একটা কষ্ট কষ্ট ফিলিংস হয়। এখন আর নানী নাই। রান্নাঘরে সারাক্ষণ ভাত ফুটতে থাকে না। অদ্ভুত পাবনার ভাষায় বকাবাজি করারও কেউ নাই। সেই নিচতলা থেকে চাপকলের পানি টেনে উঠাতে হয় না। টানা লম্বা বারান্দাটাও নাই। সব মামাদের জন্য আলাদা আলাদা রান্নাঘর, আলাদা বারান্দা। বাড়িটাতে পা রেখেই মনের আনন্দটা চট করে নিভে যায়।
হয়ত এটা মানুষের মনের অদ্ভুত কোন ব্যাপার। ঐ বাড়িটার সাথে শৈশবের আনন্দগুলো জড়িয়ে গেছে। যদিও এখন আর বাড়িটাও আগের মত নেই, তার বাসিন্দারাও বদলেছে, তবু ঢাকার দমবন্ধ পরিবেশে থাকতে থাকতে যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন মনটা দৌড় মারে ঐদিকে। ঢাকার উপর ভালবাসার সিলিং নাই। এজন্য ঢাকায় সারাজীবন কাটিয়েও ঢাকার উপর টান সহজে হতে চায় না।
শুধু মনে হয় ঐখানটাতে সুখ রাখা আছে।
বস্তা বস্তা সুখ.........
Labels:
Gustav Klimt,
Tree of Life.,
ছুটি,
জীবনচক্র,
পালায় যাব
Subscribe to:
Posts (Atom)