Saturday, September 1, 2012

কিছুটা আড়াল এখন প্রয়োজন

[ইহা গদ্য লেখা
কিন্তু ইচ্ছা করেই পদ্য-পদ্য চেহারা দিলাম]
............................

চেঁচামেচি গান শুনি আর ব্লগ লিখি,
মাথার মধ্যে শর্ট সার্কিটও পুরানো হয়ে গেছে,
মাঝে মাঝে একটা দুইটা লাইন চলে আসে মাথায়;
আবার বারান্দার গ্রীল গলে আকাশে পালায়..


ডিপ্রেসিং কিছু লিখতেও ডিপ্রেসড লাগে,
ইংরেজি শব্দ বাংলায় টাইপ করলে বিদঘুটে লুক নেয়...

গতরাতে আকাশের কপালে বিরাট সাদা এক টিপ,
তাই নিয়ে আঁধার বারান্দায় বসে
জোরপূর্বক নিজেকে লিখতে বাধ্য করার ট্রাই করলাম...
পিছন থেকে আম্মু বিড়ালের মত নি:শব্দে হেঁটে এসে-
দিল পিলে চমকে :-\

এমনিতেই একজন কাজী নজরুল ইসলাম
কবিতা মনের মধ্যে পত পত করে পতাকা মেলে;
তার উপর ভয় খাইয়া
কবিতা গেল পলাইয়া...

জীবনে irony'র শেষ নাই,
মেঝেতে মাদুর পেতে শুয়ে বারান্দা দিয়ে বাইরে তাকায়-
দেখি এক আজব চিজ-
আকাশে তিনটা তারা,
মিট মিট করতেসে,
তাও হেন তেন না,
এক দাগের উপর তিনটা সাদা বিন্দু
একটার পর একটা মিট মিট করতেসে,
পালা করে...

একটা জ্বলে,
আরেকটা নেভে,
একটা করে মিটির মিটির,
আরেকটা নট...
আবার সেইটা মিটির মিটির,
আরেকটা অফ..

আসলে আকাশের ওই পারে
সুরঞ্জনার বিয়ে ছিল
কাল রাতে,
একজন যুবকের সাথে...
এর অর্থ মিলু ছেলেটা,
প্র্যাকটিক্যালি ছ্যাঁকা খেল :(

সেই বিয়ের আলোকসজ্জা আমি দূর থেকে দেখে ফেলেছি,
I shouldn't have;
I wasn't welcome to stare
অই যে যেমন খুব সুন্দর কারো দিকে
আনমনে হঠাৎ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় থাকলে
 সে অস্বস্তি আর বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকায়
সেই অবস্থা

অবশ্য

তারাদের
ভুরু নাই,
কুঁচকাইতেও পারে না..

পরসমাচার এই যে,
আমি লেখার হেড লাইন থেকে সম্পূর্ণ সরে এসেছি
যা মনে আসতেসে,
তাই লেখতেসি..

লেখার মধ্যে
(পর্যাপ্ত ভাব এবং তীব্র ভাষা সহকারে)
লিখতে চাইসিলাম
"কিছুটা আড়াল এখন প্রয়োজন"
এটা পালিয়ে স্মোক করার আড়াল হতে পারে
একা একা মনে মনে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেয়ার
অথবা
সম্পূর্ণ কল্পনায় হানিমুনে যাবার জন্য দরকার হতে পারে

কিন্তু দরকার......

মানুষের আড়াল দরকার....

জ্বলন্ত সূর্যের নিচে দাঁড়িয়ে বেগুন ভাজা হওয়া যায়,
পোড় খাওয়া তত্ত্বজ্ঞানী হওয়া যায়,
tough guy হওয়া যায়,

কিন্তু রহস্য বালিকা হওয়া যায় না...

রোদের মধ্যে রহস্য নাই,
আছে তীব্রতা...
সমস্যা নাই,
তীব্রতা খুবই আকর্ষণীয়,
কিন্তু তাতে শান্তি নাই...

শান্তি ছিল কাল রাতের বিরাট চাঁদটায়;
শান্তি ছিল, রহস্য ছিল....

কিন্তু রোদের মধ্যে রহস্য নাই,
আড়াল নাই,

আছে নীল জোছনায়....
সেখানে রহস্য বালিকা হওয়া যায়...


অবশ্য...



পিছন থেকে কেউ এসে পিলে চমকে দিলে আলাদা কথা.....

4 comments:

  1. ঠাট্টা হল কিনা জানি না, তবে ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্যের জন্য :)।

    ReplyDelete
  2. valo laglo. ei 'kichhuta aral' byapar ta ke 'being orthodox' er satheo tulona kora jay.

    ReplyDelete

What do you think?